তোমাদের শান্তি হোক
বা যোগাভ্যাস করেন না তাদের থেকে মনসংযোগকারী ব্যক্তিরা দ্বিগুনভারসাম্যহীন অন্যের জন্য নয় ,কিন্তু নিজের অশান্ত ও মানসিক অস্তিরতার কারন অনুসন্ধানের জন্য
স্বাভাবিক জীবন থেকে পালিয়ে একাকাত্বের জীবন মনোনীত করেন । ফলস্বরূপ ,এই জগত বিমুখতা তাদের নিজস্ব স্বভাবকে ভ্রষ্টতার সন্মুখীন করে। যদি আমরা আমাদের দৈনন্দিন সমস্যার মধ্যে শান্তি ও সমাধান খুজেঁ নাপাই তবে আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কি ?
আমরা আপনাকে এমন এক ব্যাক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই যিনি কেবল মাত্র আপনাকে প্রকৃত ও চিরস্থায়ী শান্তি দিতেন পারেন । তিনি বলেন , “ শান্তি আমি তোমাদের কাছে রাখিয়া যাইতেছি , আমারই শান্তি তোমাদিগকে দান করিতেছি …..তোমাদের হৃদয় উদ্বিগ্ন না হউক , ভীতও না হউক” । এই গুলি কোন বৃথা উক্তি নয় ,কিন্তু যিনি আপনাকে প্রেম করেন এবং আপনার মঙ্গলার্থে নিজের জীবন দিলেন তিনিই এই কথা বলেন । কেহ আপনাকে শান্তি দিতে পারে না , যদি তার মধ্যে শান্তি না থাকে । একজন আছেন যিনি শান্তি দানে প্রতিঙ্গা বদ্ধ , তিনিই শান্তিরাজ – যীশু খ্রীষ্ট।
আপনি বলতে পারেন , “যীশু তো আমার কাছে প্রত্যক্ষ নন; কিভাবে আমি অদৃশ্য একজনের কাছ থেকে কিছু নিতে পারি ? “কিন্তু কিছু কিছু বিষয় আপনাকে তাঁর থেকে এবং তিনি যে শান্তি আপনাকে দিতে চান তার থেকে পৃথক করে রেখেছে যার জন্য তিনি আপনার কাছে প্রত্যক্ষ নন, তাহল আপনার পাপ । আমাদের হৃদয়ের গভীরে আমরা সকলেই ভাল ও মন্দ বিষয় জানি এবং যখন আমরা আমাদের অভ্যন্তরস্থ বিবেকের রবকে উপেক্ষা করি যা আমাদের কিছু বিশেষ কাজ করা থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেয়, তখন আমরা সেই একজন যিনি আমাদের শান্তি দিতে আগ্রহী তাঁর রবকেই উপেক্ষা করি। তিনি বলেন , “ যদি তুমি আমার বাক্যে অবধান কর তাহলে তোমার শান্তি নদীর ন্যায় , তোমার ধার্মিকতা সমুদ্র তরঙ্গের ন্যায় হইবে “। ” যদি আমরা আপন আপন পাপ স্বীকার করি , তিনি বিশ্বস্ত ও ধার্মিক সুতরাং আমাদের পাপসকল মোচন করিবেন , এবং আমাদিগকে সমস্ত অধার্মিকতা হইতে শুচি করিবেন “।
যদি আপনি প্রকৃত শান্তি চান , তাহলে আপনার জীবনে যে সকল বিষয় পাপ বা ভুল বলে আপনি জানেন , সেগুলি থেকে ফিরুন এবং যীশুর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন । তিনি আপনার যেকোন পাপ ক্ষমা করতে আগ্রহী ও সমর্থ , কেননা তিনি আপনার ও আমার পাপের মূল্য হিসাবে ক্রশের উপর নিজের জীবন দিলেন । তারপর ঈশ্বর আপনার কাছে যা কিছু আগ্রহ করেন সেই সকলের বাধ্য হতে এক সিদ্ধান্ত গ্রহন করুন ।আপনি যদি তা করেন তবেই আপনি প্রকৃত শান্তি খুঁজে পাবেন , যা আপনার বোধের অতীত , আপনার স্বভাবের উর্ধ্বে , যে শান্তি কখনই আপনাকে ছেড়ে যাবে না ।আপনার পাপ দূরীভূত হলে আপনি শান্তির রাজা প্রভু যীশুকে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন ।
যীশু দুঃখভোগ করলেন এবং ক্রশে জীবন দিলেন , কেবলমাত্র আমাদের পাপের মুক্তির জন্য নয় , কিন্তু আমাদের দুর্বলতা এবং রোগমুক্তির জন্যও । যখন আপনি তাকেঁ আপনার প্রভু ও ব্যক্তিগত ত্রানকর্ত্তারূপে স্বীকার করবেন তখন তিনি য়ে কেবল আপনার পাপের ক্ষমা এবং প্রানে শান্তি প্রদান করবেন তাই নয় কিন্তু তিনি আপনার দৈহিক আরোগ্যতাও দেবেন । দায়ূদ রাজা আপন অভিঙ্গতা বর্ননা করেছেন তাঁর গানে ,“ হে আমার প্রান ,সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর; তাঁহার সকল উপকার ভুলিয়া যাইও না ;
তিনি তোমার সমস্ত অপরাধ ক্ষমা করেন ও তোমার সমস্ত রোগের প্রতিকার করেন ” ।আপনি নিশ্চিত হোন , শান্তির প্রভু যীশুর সঙ্গে মিলিত হলে এবং তাঁর শান্তিকে প্রাপ্ত করলে আপনার হৃদয় হতে ভয় , উদ্বেগ ও বিরক্তি দূর হয়ে যাবে । তখন আপনি আপনার জীবনের বিনিময়ে এই যুদ্ধ বিধ্বস্ত বিদ্বেষ জর্জরিত পৃথিবীর বুকে শান্তি সমাধান ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবেন ।
আপনার নিজের সাহায্যার্থে আপনি নিম্নোক্ত প্রার্থনা প্রভুর কাছে নিবেদন করুন :
“ হে প্রভু যীশু , শাল্তির রাজা ,আমি তোমার শান্তি চাই । আমি জানি আমার পাপ তোমার থেকে আমাকে পৃথক করে রেখেছে । কৃপা করে আমার পাপসকল ক্ষমা কর এবং তোমার বহুমূল্য রক্ত দ্বারা আমার পাপময় হৃদয়কে ধৌত করে দাও । আজই আমি তোমাকে আমার ঈশ্বর ও ত্রানকর্তা হিসাবে গ্রহন করতে চাই । তোমার আদেশ পালন করতে আমি প্রস্তুত ,অনুগ্রহ করে আমাকে সাহায্য কর । আমাকে সুস্থ কর আর তোমার শান্তি আমাকে দাও । আমেন ” ।
You can find equivalent English tract @